আমাদের বর্তমান ফ্যাশনে কানে ইয়ারফোন এবং
ব্লু টুথ হেডসেট রাখাটা যেন বাধ্যতামূলক। বাসে চলার পথে, অফিসে, অবসরে,
রাস্তায় হাঁটাহাঁটিসহ বিভিন্ন সময়ে ইয়ারফোন, ব্লু টুথ হেডসেট যেন তরুণদের
সবচেয়ে পছন্দের জিনিস। পরিস্থিতি যাই হোক, গান শোনা চাই-ই চাই। কিন্তু
এগুলোর যথেচ্ছ ব্যবহার কি আমাদের কোন ক্ষতি করছে? আসুন এ ব্যাপারে জেনে
নিই।
শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া:
শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া ইয়ারফোন ব্যবহারের
সবচেয়ে বড় ক্ষতিকর দিক। Diagnostic Audiology Boston Children’s Hospital
এর ডাক্তার Brian Fligor এর মতে, “যদি আপনি ৯০ ডেসিবেলের বেশি শব্দে গান
শোনেন তবে তা আপনার শ্রবণশক্তিকে কমিয়ে দিতে পারে। এমনকী স্থায়ীভাবে
শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলারও সম্ভাবনা রয়েছে। এই সমস্যাটা তাদেরই বেশি হওয়ার
সম্ভাবনা যারা দীর্ঘসময় ধরে ইয়ারফোনে গান শোনেন। আর যদি কেউ ৮০-৮৫ ডেসিমেল
শব্দে দিনে আট ঘণ্টা গান শোনেন, তবে তারা স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি হারিয়ে
ফেলবেন।
কানের ইনফেকশন:
Manchester Evening News এর মতামত অনুসারে,
নিয়মিত ইয়ারফোন ব্যবহার আপনার কানে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণকে বাড়িয়ে
দিতে পারে। এমনকী এটা অন্যের সাথে শেয়ার করলে মানুষের চোখেও ব্যাকটেরিয়া
ছড়িয়ে পড়তে পারে। ডাঃ Chiranjay Mukhopadhyay সবাইকে ইয়ারফোন শেয়ার না করার
পরামর্শ দেন।
ব্লু টুথ হেডফোনের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
ব্লু টুথ মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশনকে নির্গত করে।
রেডিয়েশন একজন মানুষের চোখ, মস্তিষ্ক এবং বিশেষ করে কানকে ক্ষতিগ্রস্থ
করে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সার, অন্ধত্ব, মেমরি লস এবং মেন্টাল
ডিসঅর্ডারসহ নানা সমস্যা হতে পারে। এটা আপানার ডিএনএকেও আক্রান্ত করতে
পারে।
-অল্প ভলিউমে গান শুনুন।
-এক ঘণ্টা গান শোনার পর ৫ মিনিট বিরতি দিন।
-আপনার ইয়ারফোনটি অন্য কারো সাথে শেয়ার করা থেকে বিরত ত্থাকুন।
-ব্লু টুথ হেডফোন ব্যবহারে হন সর্বোচ্চ সতর্ক।
-এক ঘণ্টা গান শোনার পর ৫ মিনিট বিরতি দিন।
-আপনার ইয়ারফোনটি অন্য কারো সাথে শেয়ার করা থেকে বিরত ত্থাকুন।
-ব্লু টুথ হেডফোন ব্যবহারে হন সর্বোচ্চ সতর্ক।
No comments:
Post a Comment
tnx